কৌশিক চক্রবর্তী-এর কবিতা
হেমন্তাজ
আয়নায় তাকালে গান
চুমুদের লেমন সোয়াদ
চৌকাঠ পেরিয়ে এইসব হেমন্তকালে
নেশা লেগেছে তস্বিরমহলে
চিবুকের উপত্যকায় পড়ে নিলাম
নরম রুটির ছাদ
সরে থাকার রঙে অপার পেরোচ্ছে রূপের নখরা
নাকি নখের রূপসা
দ্যাখো
কত জানলা সরে গেল এমনি এমনি
কত জামা ভেসে গেল
হাওয়ায়
লেবুবাগানের গন্ধ লিখতে পারছি না
কেউ কেউ সেই ফাঁকে
সরে যাচ্ছে পাশের শহরে
জলজিয়া
বোতামের আঙুল থেকে
ছিটকে ছিটকে ওঠে গোলাপি স্টপেজের আশ্কারা…
বাড়ির দেওয়াল জুড়ে জ্বর।
এ সময়ে আলোবাড়ির চশমা উড়িয়ে ফেনার রুমাল বোনবার কথা।
আজ কাল ও পরশু’র জামায়
টোল খাওয়া আপেল আর মসক্কলি।
এরকম ফিরে আসলে হাওয়া দেয়।
এরকম হাওয়া দিলে সন্ধেরা ঘুমিয়ে পড়ে।
এরকম ঘুম পেলে সেইসব আপেলবাগান থেকে মসক্কলিরা উড়ে যায়।
তুমিও পারো তো। তবু কেন সাঁতারে যাবে না?
মুস্কানের চোখ মচকে না হয় অনেক অনেকগুলো দেখার অচেনা।
অথচ কখন যে শুনতে পেলাম
জলের বর্গক্ষেত্র একা একাই কেমন
পাক খাওয়া সিঁড়িতে পেরোলে…
Posted in: January 2019, Poetry