যশোধরা রায়চৌধুরী-এর কবিতা
উৎসবকালীন
প্রলয়ের অন্ধতাকে দু আঙুলে তুলে আনো, দেখো
প্রলাপ ধ্বজার গায়ে লেগে থাকে স্লোগান, ফেস্টুন।
এই সব কিংখাব অসুখ বল । গ্যাঁজলা ওঠা মদের মতন
ধর্মের উৎসব বল। কেননা এখনো আমি পারি তো
গরিবিয়ানা ছুঁড়ে
বাহিরে জমাট হতে, জড়োয়ার গয়না-মত বাঁচা
এখনো জটিল বৃত্তে রাজা সাজি, রাজকীয় পাৎলুন নাচাই।
আনন্দের কাদা মাখি, আনন্দ আঁচাই।
হুল্লোড়ের হুল্লাটের জলে নেমে জলকেলি করি আর
কৃতার্থতা চাই,
সে তো অভ্যাসেই। সুখে আমি লেপটে আছি ভবে।
বিষাদ কেতন করে ওড়াব, তা সুখেরই উৎসবে
পাখি নেই
উতলা রজনী আজ, উচ্চকিত প্রতিটি ইন্দ্রিয়
কী দেখবে বলে আজ তুমি চলো বাতাসের বেগে
কী এক কদর্য সত্য দেখে নেবে জেনে তুমি আজো
খুঁজে মরো খিল্লি আর খুঁজে মরো কেচ্ছাটি, রসের
আসলে ভেতরে কোন বৃত্ত নেই, কেন্দ্র নেই কোন বৃত্তটির
আসলে কোথাও কোন উৎস নেই, ফাঁপা হৃদয়ের
কোন কোন রসিকতা ভাল লাগে, হা হা করে হাসো
যে হৃদয়ে প্রেম নেই সে হৃদয় বুদ্ধি ধরে নাকি?
যে হৃদয়ে সুখ নেই, আনন্দও নেই
সে হৃদয়ে আছে কোন আতিশয্য, ইয়ার্কি, ফাজলামি?
রসহীন শুষ্ক এক অতিকায় বাঁচা
মাথায় ধরেছ বলে এ হৃদিকন্দরে
রসবোধ নেই আর, ফাঁকা আছে খাঁচা
Related posts:
Posted in: January 2019, Poetry