তন্ময় রায়-এর কবিতা
ফাঁক
খার খেতে গিয়ে
মহাখচ্চর আমাকে চিনে ফেলে
আমার লিঙ্গে ফাংগাস জন্মানোর দিন তখন
শোয়াটা ঠিক রাখাই হুজ্জত
বালিসের নিচে অরগ্যানিক নোট
মাথা মারা যাচ্ছে মিষ্টি দোকানের পেছনে
নিজেকে ডাক্তার ভেবে মুঠো খাচ্ছি
তার নিরাময় আহা
তার ত্যাগ বিক্রিয়ার মাধ্যম
বারুদ সংকেতে আত্মীয় পুজো
সে ছিল কাচের নেশা
তরল ভাবা কাচ যেন মধু
গলা ভারী করে
আমি আত্মীয় খালি করি
গলায় হাত ঢুকিয়ে তুলে আনি
ঘুমের চোটে ডুবে থাকা গলিটা
এখন অবকাশ অর্থে একটা থান।
মাথা থেকে মিষ্টি দোকানের পেছন উগড়ে দিই
আর মহাখচ্চরে ঘেমে উঠি…
জল আরোগ্য
ঘিরে ধরার স্বপ্ন দিয়ে তোমাকে মিইয়ে দেবো
অহেতুক ওহে অহেতুক
গোটা একটা দিনের শব্দ আর অনেক বৃষ্টি শুধু ঘর বদলে
পাওয়া যায় না
এ ঘরে রাত কাব্য করে
কাগজ ও প্লেটের চরিত্র পালটে যেতে দেখি
শব্দে রঙের আনাগোনা
আলোই এখানে শুষে নিচ্ছে দৃশ্য
আর বৃষ্টি তখন দিন ভাঙছে
পলিথিন মোড়া মুখ
তারপর ছিপি
বাষ্প আটকাতে গিয়ে
হেজে যাচ্ছে কথার কোণাগুলো
তাদের একটায় ব’সে
মোলায়েম দিয়ে
আমি শেষ মেরে আসছি
Related posts:
Posted in: August 2020, POETRY
অসাধারণ দৃষ্টি–শক্তিমান বর্ণনাশৈলীতে প্রগাঢ় জীবনবোধে সমৃদ্ধ কবিতা। কবিতার ভাষা তীক্ষ্ণ, ভাবনা অতলান্তিকের মতো গভীর। ভালো লাগল ভাবতন্ময়তা। আরও লেখা চাই। 34. কবজির অমেয় শক্তি বাংলা কবিতার পাঠককে নতুন স্বাদ দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।