সম্পাদকীয়
শহরে ধোঁয়াশা নামছে। কোন এক বিকেলে দেখি বিষণ্ণতা হাওয়ায় হাওয়ায়। তোমার কথা মনে পড়ে। আরো দূরে সন্ধ্যের কাক, খানিকটা আনমনা ডানা দিয়ে জলজাহাজের দিকে সাঁতরায়। ভোঁ দেয় স্টিমারের হাসি। সময় উঠছে ভিজে, নিমগ্ন নিঃসঙ্গ যামিনীর জ্বর। নিশি ডাকে পাখি। একটা একটা করে লেভেল ক্রসিং পেরোয় চাকার শব্দ। আমলকী বনের পাতা কি ঝরে আজও? ঝরা পাতার শব্দ গোনে জোছনা? এলানো রোদের দানা ফোটে। ধীরে গায়ে গলিঘুঁজি, মোহনায় ডোবা চাঁদ পেরিয়ে প্রান্তরের জ্যোৎস্নায় সেই পতঝরের শব্দ খুঁজি—হেমন্ত কোথায় থাকে?
নগর ছাড়িয়ে, কিছু ক্ষণ মুহূর্তে ম্রিয়মাণ শিশিরে ঘ্রাণ হয়ত জানান দেয়—সে এসেছিল। শীতের আগে নিতান্ত ভুলো মনে হয়ত এসেছিল—হেমন্ত। তাই অঘ্রাণের বন্ধ দুয়ারে হয়ত কোন বাঁশি ওয়ালার ঘুমের তল্লাট খুঁজে ফেরে—হেমন্ত কোথায় থাকে?
নভেম্বর, ২০২১
Related posts:
Posted in: EDITORIAL, November 2021